সামাজিক অসচেতনতা ও বিদেশমুখীতার কারণে চন্দরপুর অঞ্চলে নারীশিক্ষার বিষয়টি ছিল অবহেলিত যা এ অঞ্চলের সার্বিক অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। উচ্চশিক্ষা বঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষার সুযোগকে সহজ করার জন্যই ১৯৯৫ সালে আল-এমদাদ কলেজ এর প্রতিষ্ঠা।
মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজটির যাত্রা শুরু হলেও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, শিক্ষকদের নিরলস প্রয়াস, পরীক্ষার ফলাফল, সহশিক্ষা কার্যক্রমসহ সার্বিক অগ্রগতির প্রেক্ষিতে আজ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা চার শতাধিক। আর এতে সহজেই অনুমেয় কলেজের পথ পরিক্রমা দীর্ঘ না হলেও ইতোমধ্যে এতদ অঞ্চলে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
অগ্রসরমান প্রতিষ্ঠানটির যথাযথ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষকদের এমপিও ভূক্তি, অনার্স কোর্স চালু, একাডেমিক ভবন নির্মাণসহ সার্বিক কার্যক্রমে সরকারি সহযোগিতা থাকলে কলেজটি যে আরও অনেকদূর অগ্রসর হবে তা সুস্পষ্ট। সর্বোপরি নারী শিক্ষার প্রসারে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ গুলোকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এবং কলেজের বাস্তব অবস্থান পর্যালোচনায় জাতীয়করণের দাবীও আজ অত্যন্ত যৌক্তিক।
প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি প্রত্যাশা রাখি সরকারি উদ্যোগ যেমন থাকবে তেমনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সচেতন অভিভাবকসহ সবার সম্মিলিত প্রয়াসে কলেজটি শুধু চন্দরপুর অঞ্চলেই নয় সিলেট তথা দেশের এক অন্যতম বিদ্যাপীঠে পরিণত হবে।
সভাপতি
মোঃ মনজুর আহমদ
আল-এমদাদ কলেজ,চন্দরপুর
গোলাপগঞ্জ, সিলেট